আওয়মীলীগ নেতা ছালিক বক্সের নেতৃত্ব হিংস্র ভাবে গনধর্ষন করা হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু নারীকে।

 

কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা । মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছালিক বক্স ও শরীফপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ-এর ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগীর কাছে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । স্থানীয়রা বলছে ভুক্তভোগী নারীর আত্মচিৎকার আহাজারি যেন পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছিলো । গত ২৯শে জুনের এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ৩রা জুলাই হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের ছোট ভাই ছালিক বক্সকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় মামলা করেছে। ঘটনাটি এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে । 

জানা গেছে, ঈদের দিন মৌলভীবাজার শহরের ওই নারী কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান । বাসায় ওই নারীকে রেখে ব্যবসায়ী আত্মীয় বাজারে তার দোকানে যান । রাতে ওই নারী বাসায় একা থাকার সুবাধে ছালিক বক্স তার সহযোগী হাসানুল বারী সানীকে নিয়ে দরজা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে। ওই সময় ছালিক বক্স ও হাসানুল বারী সানী ওই নারীকে ধর্ষণ করেন ।  

শুধু তাই নয় ছালিক বক্স ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো স্তনে কামড়ে খুবলে নেয় । এ কাজে তাদের সহায়তা করেন তাদের সহযোগী শরীফপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান । 

তিনি নারীর যৌনাঙ্গে কয়েকবার পা দিয়ে আঘাত করে এবং রক্তাক্ত হয়ে যায় বিছানা । এ সময় আসামিরা ওই নারীর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন । এবং স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেয়ার শর্তে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। পরে ভিকটিমের আত্মীয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামিরা । যেটা মৌলভীবাজারে আগে কখনো হয়নি । এমন ভয়ংকর ঘটনা ইতিহাসে বিরল !! মৌলভীবাজারের  পুরো সভ্যসমাজ তাদের কঠিনতম শাস্তি চাই । নতুবা এই সরকারের উপর চিরতরে আস্থা হারাবে জনগণ - স্থানীয় জনগণ বলেন।

সূত্র :: #দৈনিক_মানবজমিন