বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ সরকার এবং প্রশাসন : বাংলাদেশ হিন্দু লীগ


 বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ সরকার এবং প্রশাসন।বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় আজ অস্তিত্ব সংকটে। সরকারের উদাসীন মনোভাব ও বিচারহীনতার কারনেই এদেশে ধীরে ধীরে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে হিন্দু সম্প্রাদায়। সংখ্যালঘু মেয়েরা বাসা থেকে বের হলেই অপহরণ, ধর্ষণ ও লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে। কোন প্রকার পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় গ্রহণ না করে নিরপেক্ষভাবে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল এর মাধ্যমে সমস্ত অপরাধীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু লীগ।অস্তিত্ব সংকটে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় । সরকারের উদাসীন মনোভাব ও বিচারহীনতার কারনেই এদেশে ধীরে ধীরে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে হিন্দু সম্প্রাদায়। সংখ্যালঘু মেয়েরা বাসা থেকে বের হলেই অপহরণ, ধর্ষণ ও লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে। কোন প্রকার পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় গ্রহণ না করে নিরপেক্ষভাবে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল এর মাধ্যমে সমস্ত অপরাধীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু লীগ।


আজ শনিবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনার এসএসসি পরীক্ষার্থী মুক্তা রাণী বর্মন(১৬) ও খাগড়াছড়ির রাহুল কর্মকার হত্যার প্রতিবাদ এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী এবং খুলনার ঋতু মন্ডল(১৩)কে উদ্ধারের দাবীতে সমাবেশ ও মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সভাপতি দীপক গুপ্ত বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যেভাবে হিন্দু মেয়েদেরকে টার্গেট করে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিও ঠিক একই অবস্থায় বিরাজ করছে।


দীপক গুপ্ত বলেন, গত ২ মে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় হিন্দু এসএসসি পরীক্ষার্থী মুক্তা রানী বর্মণকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় মোঃ কাওসার নামের যুবক। প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়  ১৬ বছরের মেয়েটিকে মোঃ কাওসার ছুড়িকাঘাতে হত্যা করে। একদিন পরেই খাগড়াছড়ির দিঘীনালি রাহুল কর্মকারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। খুলনা  জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিল মুনি ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের দিনমজুর আদিত্য মণ্ডলের ১৩ বছরের নাবালিকা ঋতু মন্ডলকে মোঃ আরাফাত ও মোঃ সালমান অপহরণ করে নিয়ে যায়।


তিনি আরও বলেন, সামগ্রিক নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে প্রতীয়মান হয় যে, এদেশে ধীরে ধীরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রাদায়ের জন্য বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘু মেয়েরা বাসা থেকে বের হলেই অপহরণ, ধর্ষণ ও লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে।


হিন্দু লীগের প্রেসিডেন্ট দীপক গুপ্ত আরও বলেন, যাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই জাতির অস্তিত্ব আজ বিলুপ্তির পথে। হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য আর শত পুরুষের ভিটা মাটি ছেড়ে তারা ভারতে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। পাকিস্তানের শুরুর থেকে বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার যে পায়তারা চলছিল বর্তমানে সেই চক্রান্ত দমন, পীড়ন, লুণ্ঠন, সম্পত্তি দখল, মন্দির ভাংচুর, নারী অপহরণ, বুদ্ধিজীবী ও পুরোহিত হত্যাসহ সকল ধরনের অত্যাচার এখনো বিদ্যমান। তাইতো স্বাধীনের পরে তিন কোটি হিন্দু চলে গেলেও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই সরকারের। অস্বীকার করার উপায় নেই রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে অনেক দূরে ছিটকে গেছে আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।


প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সভাপতি দীপক গুপ্ত, যুগ্ম মহাসচিব সঞ্জয় কুমার রায়,দপ্তর সম্পাদক সাগর কর্মকার, বাংলাদেশ হিন্দু যুব লীগের আহ্বায়ক রমেন কুমার হাওলাদার, হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে,ওয়াল্ড হিন্দু ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মিনা দেবী সেত্রী প্রমূখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সভাপতি দীপক গুপ্ত, যুগ্ম মহাসচিব সঞ্জয় কুমার রায়,দপ্তর সম্পাদক সাগর কর্মকার, বাংলাদেশ হিন্দু যুব লীগের আহ্বায়ক রমেন কুমার হাওলাদার, হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে,ওয়াল্ড হিন্দু ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মিনা দেবী সেত্রী প্রমূখ।

http://www.anandalokfoundation.com/

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলাদেশ হিন্দু মহাসভা নামে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মন্দির ভাংচুর

সখিপুরের সাম্প্রদায়িক হামলায় বাংলাদেশ হিন্দু মহাসভা'র প্রতিবাদ